সাতাশিয়া শরীফুল মরিয়ম উচ্চ বিদ্যালয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ

সাতাশিয়া শরীফুল মরিয়ম উচ্চ বিদ্যালয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ

 যুগকথা রিপোর্ট :

গোপালগঞ্জ  জেলার কাশিয়ানী উপজেলা সাতাশিয়া শরীফুল  মরিয়ম উচ্চ বিদ্যালয় নানা অনিয়ম কথা বলছেন ম্যানেজিং  কমিটির সদস্যরা স্কুল  ম্যানেজিং কমিটির  সদস্য মশিউর রহমান মুক্তি বলেন গতো মাসে আমাদের বিদ্যালয় দাতা সদস্য  টাকার  বিনিময়ে করেছে আমাদের স্কুলের কেরানী  স্বপন  রায় ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। কেরানী স্বপন বাবু  তার শালিকা সীমা রানী কে কোন প্রকার  নিয়মের  তোয়াক্কা  না করে টাকার বিনিময়ে স্কুল  এর প্রধান শিক্ষক -কেরানী ও স্কুল কমিটির  সভাপতি  ম্যানেজিং  বোর্ডের সদস্যদের না জানিয়ে অসৎ  উপায়ে আয়া পদে  নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি বলেন আমরা  ম্যানেজিং বোর্ডর সদস্য  যারা আছি তারা  প্রায় ই সদস্য জানতো না  যে আয়া নিয়োগ দেওয়া হবে। কাশিয়ানী  উপজেলার  শিক্ষা  অফিসার সহ সকল  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর কর্মকর্তা দের ওপর আমার  দাবি বর্তমান  আয়া কে প্রতিহার করে পুনরায় সকল ম্যানেজিং  কমিটির সদস্য দের উপস্থিত তে আয়া  পদে নিয়োগ দেওয়া হোক। 


স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মনামিয়া বলেন আমাদের স্কুল এর সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান  শিক্ষকের বিভিন্ন দূর্নীতি ও অনিয়ম বর্তমানে নিয়মে পরিনিত হয়েছে।তিনি বলেন এই মাসে আমাদের বিদ্যালয় আজীবন সদস্য ও এক বছর এর জন্য সদস্য পদে  সদস্য নেওয়া হয়েছে  কিন্তু আমরা স্কুল কমিটির ম্যানেজিং  বোর্ডের সদস্য  হয়েও কোন নোটিশ বা  প্রজ্ঞাপন  পাইনি । তিনি আরো বলেন  ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক  ও সভাপতি তাদের পছন্দ মতো আজীবন সদস্য ও এক বছরের সদস্য বানিয়েছে কোন প্রকার নিয়ম নীতি ছাড়া। গত মাসে আমাদের একজন আয়া নিয়োগ হয়েছে চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে সে বিষয়েও আমি কোন কিছুই জানতে পারিনি। 

সাতাশিয়া শরীফুল মরিয়ম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং বোর্ডের সভাপতি খন্দকার  নাসির উদ্দিন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন  যে আমার স্কুলে আয়া পদে নিয়োগ হয়েছে নিয়ম-নীতি অনুযায়ী। তিনি আরো বলেন যে আমার স্কুলের নিয়োগ বোর্ডের সকল  সদস্যদের উপস্থিতিতে আয়া  পদে নিয়োগ হয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি  বলেন যে আমার স্কুলে আজীবন সদস্য ও এক বছর মেয়াদী সদস্য নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে। 

কাশিয়ানী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সাতাশিয়া শরীফুল মরিয়ম উচ্চবিদ্যালয় নিয়োগ ও ম্যানেজিং বোর্ডের সদস্য বানানোর বিষয়টি জানার জন্য গণমাধ্যম কর্মীরা তাকে তার মুঠোফোনে বারবার ফোন দিলে ও তিনি  ফোনটি  রিসিভ করেনি