গোপালগঞ্জে পতিত জলাভূমিতে “টুঙ্গিপাড়া মডেল” পদ্ধতির পেন কালচার ব্যাপক সাড়া ফেলেছে!
যুগকথা রিপোর্ট :
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পূর্বের বিল এর মোট ১০০ বিঘা পতিত জলাভূমিতে দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাছ চাষ করা হয়েছিলো।এই মাছ চাষ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্থানীয় ২৫ জন সুফলভোগী নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে তাদেরকে মাছ চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদাণ করা হয়েছিলো।
এখানে মোট ৫০ মন কার্প জাতীয় মাছ এবং প্রায় ২১২০০ পিস শিং মাছের পোনা মজুত করা হয়েছিলো। যার মধ্যে প্রায় ১০ মন কার্প জাতীয় মাছ পানির বিভিন্ন সমস্যা ও পাট পঁচা পানির প্রবাহের কারণে অতিরিক্ত এমোনিয়া ও হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসের আধিক্যের কারণে মারা গিয়েছে।কার্প জাতীয় মাছের পোনার গড় ওজন ছিলো ২৫০-৩০০ গ্রাম । শিং মাছের পোনার গড় ওজন ছিলো ২.৫ গ্রাম।
টুঙ্গিপাড়া মডেল” পদ্ধতির পেন কালচার পদ্ধতিতে মাছকে কোন প্রকার বাণিজ্যিক পিলেট খাবার খাওয়ানো হয়নি। অর্থাৎ মাছের স্বাদ ও গায়ের কালার একেবারে প্রাকৃতিক । বাজারে তাই এই মাছের ভালো মূল্য ও চাহিদা রয়েছে। এই ধরনের পেন কালচারের মাধ্যমে একদিকে যেমন কম খরচে, কম সময়ে, অধিক জনসম্পৃক্ততায় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে অধিক স্বাদ সমৃদ্ধ মাছ উৎপাদন করা যায়; তেমনি এর এই চাষ পদ্ধতির ব্যাপক সম্প্রসারণের দ্বারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানেরও অভাবনীয় উন্নয়ন করা সম্ভব।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ার এই পূর্বের বিলে উৎপাদিত এই মাছের ব্যাপারে সম্পূর্ণ অবগত আছেন। তিনি সমাজভিত্তিক পদ্ধতিতে পেনে মাছ চাষের মাধ্যমে পতিত জলাভূমিকে উৎপাদনমুখী করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ণের ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৯০ মন কার্প জাতীয় মাছ ধরা হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশী প্রজাতির শিং, কই, টাকি সহ অন্যান্য ছোট মাছ ধরা শুরু হবে