সংরক্ষিত নারী আসনে সদস্য বাছাইয়ে মঙ্গলবার থেকে ফরম বিক্রি করবে আ.লীগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে আগ্রহীদের মধ্যে ফরম বিক্রি করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আগামী মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফরম বিক্রি করা হবে। এ সময়ের মধ্যে জমাও দেওয়া যাবে।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আজ রোববার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রশাসনিক বিভাগ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট বুথ থেকে দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে হবে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং তৃতীয় তলায় রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হবে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সব বিভাগের মনোনয়ন ফরম জমা নেওয়া হবে।
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কোনো প্রকার অতিরিক্ত লোকসমাগম ছাড়া প্রার্থী নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে। আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং ফটোকপির ওপর মুঠোফোন নম্বর ও সাংগঠনিক পরিচয় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সংসদে সরক্ষিত নারী আসন ৫০টি। ইতিমধ্যে ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাঁদের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত আসনে সদস্য নির্বাচনের ক্ষমতা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছেন। ফলে আওয়ামী লীগ তাদের দলের এবং স্বতন্ত্রদের মিলে ৪৮ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য দিতে পারবে। বাকি দুটি আসনে নারী সংসদ সদস্য দিতে পারবে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
সংরক্ষিত নারী আসনে সদস্য নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভোটে সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচিত হন। দলগুলো পদের সমপরিমাণ বা একক প্রার্থী মনোনয়ন দিলে ভোটের প্রয়োজন পড়বে। সাধারণত সংরক্ষিত আসনে একক প্রার্থীই মনোনয়ন দিয়ে আসছে রাজনৈতিক দলগুলো। অর্থাৎ নির্বাচিত আসনের সমানুপাতিক যত সংরক্ষিত আসন দলগুলো পাবে, ততজনকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রত্যাশীরা দলের দায়িত্বশীল নেতাদের বাসা-কার্যালয়ে যাচ্ছেন, তদবির করছেন। অনেকে নিজের জীবনবৃত্তান্ত নেতাদের কাছে দিচ্ছেন। এতে দলের পদ-পদবি এবং অতীতের ভূমিকা বিস্তারিত তুলে ধরছেন। সহযোগী সংগঠনের নেতারাই বেশি তৎপর বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন।