যুগকথা রিপোর্টঃ
গোপালগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্চিত হবার ঘটনায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা গন এবং ক্যাডার সার্ভিসদের উপর চলমান বৈষম্যের প্রতিবাদে পৃথক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরপ্রতীক আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসময় দোষীদের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান শেখ, আতিয়ার রহমান, হরলাল বিশ্বাসসহ অনেকে।আজ বৃহস্পতিবার বিকালে কোটালীপাড়া উপজেলা শহিদ মিনারের সামনে কোটালীপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এ কর্মসূচি পালন করে। এতে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ অংশ নেয়।এসময় বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা বীরপ্রতীক আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করা মানে মুক্তিযুদ্ধের ওপর আঘাত করা। এতে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করা হয়েছে। দ্রুত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। মানববন্ধন শেষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। অপরদিকে, গোপালগঞ্জে ২৫ টি ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তাগন তাদের উপর চলমার বৈষম্যের প্রতিবাদে ও বৈষম্য দূর করে উপ-সচিব পর্যায় থেকে সচিব পর্যায় পর্যন্ত মেধার ভিত্তিতে পদন্নোতির দাবীতে মানববন্ধন করেছেন।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় পৌরপার্কে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে ১১ টা থেকে ঘন্টাব্যাপী হাতে হাত ধরে চলে মানববন্ধন। কর্মস‚চীতে জেলার বিভিন্ন অফিসের ২৫ টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা অংশ নেন।এসময় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের সরদার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দী, গোপালগঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বেনজির আহম্মেদ ফিসারী সহকারী পুরচালক শেখ আসলাম হোসেন, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেবালা চক্রবর্তী প্রম‚খ বক্তব্য রাখেন।এসময় কর্মকর্তারা বলেন, শুধুমাত্র একটি ক্যাডারের কর্মকর্তারা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নেয়ায় বাকী ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরকে পদন্নতিসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে পারেনা। বিশেষ করে উপ-সচিব থেকে সচিব পর্যায় পর্যন্ত বাকি ২৫টি ক্যাডারদেরও যাতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয় তার দাবী জানানো হয়।