যুগকথা রিপোর্ট:
গোপালগঞ্জে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও ভাতিজিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রোববার রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের টুকু মীনার স্ত্রী বিউটি বেগম (৪০) ও তাঁর মেয়ে লামিয়া (১৬)। হত্যাকাণ্ডে নিহত কিশোরী লামিয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে জালালাবাদ ইউনিয়নের খালিয়া ইউনাইটেড একাডেমি থেকে এবার সে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল।
গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন গোপীনাথপুর তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আশরাফ হোসেন জানান, আগে থেকেই ছোট ভাই টুকুর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল বড় ভাই হারুনের। রোববার রাত আনুমানিক সারে সাতটার দিকে হারুনের উঠানে গিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল টুকুর মেয়ে লামিয়া।
এ সময় চাচা হারুন তার বসত এর উঠান থেকে ভাতিজা লামিয়াকে চলে যেতে বলেন। এবং বাজে ভাষায় গালাগালি করেন। এ নিয়ে লামিয়া ও তার মা বিউটি বেগমের (৪০) সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় হারুনের। এক পর্যায়ে হারুন রাগান্বিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র কাতরা দিয়ে মা ও মেয়েকে এলোপাতাড়ি ভাবে কোপাতে থাকে। এতে লামিয়া ও তাঁর মা গুরুতর আহত হয়।
এ সময় তাদের সুর চিৎকারে স্থানীয়রা এসে মা ও মেয়েকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। হাসপাতলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আফতাব জিলানী দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর থেকে হারুন তার স্ত্রী ও মেয়ে পলাতক ছিল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাকে আমলে নিয়ে দ্রুত পুলিশ হারুনকে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে বাকিরা এখনো পলাতক রয়েছে। তাদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহত দুইজনের লাশ গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।