যুগকথা রিপোর্ট:
গোপালগঞ্জের কোটালী পাড়ায় ৭বছর প্রেমের সম্পর্কের পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় প্রমিকের বাড়িতে অনসন শুরু করেছে এক নারী। এব্যাপারে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
গত কাল উপজেলার বান্ধা বাড়ী ইউনিয়নের মধুর নাগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরনে যানাযায়, উপজেলার মধুর নাগরা( লোহার ভিটা) গ্রামের আব্দুল হক খান এর ছেলে শুকুর খান (২৪) বিগত সাত বছর যাব পার্শ্ববর্তী গ্রাম সুমাইয়া খানম (১৮)এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে আসতেছিল , গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিকালে আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট এলাকায় ঘুরতে গেলে শুকুর আলী সুমাইয়াকে আর পছন্দ করে না এবং তার সাথে আর কোন প্রকার রিলেশন রাখবে না বলে জানিয়ে দেয়।
রিলেশন না রাখার কারন জানতে চাইলে শুকুর আলী সুমাইয়াকে প্রচন্ড মারধর করেগোপন ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দিয়ে রাস্তার উপর ফেলে রেখে চলে যায়। খবর পেয়ে তার ভাই ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকার লোকের সহযোগিতা নিয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
কিছুটা সুস্থ হয়ে গতকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ৫ ঘটিকার দিকে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে সুমাইয়া শুকুর আলীর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করে, তিনি (সুনাইয়া) জানান, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সাত বছর ধরে ও আমার জীবনটাকে তিলে তিলে শেষ করে দিয়েছে, এখন আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছে , শুকুর আলি যদি স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে আমাকে ঘরে তুলে না নেয় তাহলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করে মৃত্যুবরণ করবো।
এ বিষয়ে শুকুর আলী খানকে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকার কারণে তার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ।
এ বিষয়ে শুকুর আলীর পিতা আব্দুল হক খান কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এলাকার মুরুব্বীরা সমাজে বসে দরবার করে মিটিয়ে দেয়ার কথা বলেছে, সমাজ যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি সেই সিদ্ধান্তকে মেনে নেব ।
ঘটনায় মেয়ের বাবার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি অনেকদিন যাবত দেশের বাইরে ছিলাম, এই সুযোগ লম্পট শুকুর আলী আমার মেয়ের জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়েছে, এখন আমার মেয়েকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকার করছে, আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে বিষয়টি জানিয়েছি তারা আমাকে সমাধান করে দেয়ার কথা বললেও
আমি এখন পর্যন্ত কোন প্রকার সমাধান পাইনি। এ অবস্থায় একজন মেয়ের বাবা কতটা অসহায় বোধ করতে পারে একবার ভেবে দেখবেন, আমার দাবি, দয়া করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসন যেন আমার এই বিষয়টাকে একটু গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেন।