মায়ের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে

মায়ের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে

পরীক্ষা ঘিরে বিতর্ক কিছুতেই মিটছেই না বাংলাদেশে । এবারে একটি ঘটনা ঘটেছে যেখানে মা হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়ল একটি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। এই ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জ সদরের হরিদাসপুর রয়েল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে। জানা গেছে যে, এই মেয়েটি আগে মাদ্রাসার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। এখন তিনি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী হিসেবে পরীক্ষা দিচ্ছেন।

আগের দিনেই একটি ঘটনা ঘটেছিল যেখানে একজন যুবক, যিনি তার বোনের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। এবারে একটি প্রকারের ঘটনা ঘটেছে যেখানে সপ্তম শ্রেণির একটি ছাত্রী, যিনি তার মায়ের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন, ধরা পড়েছেন। এই সমস্যার প্রসঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে।

পরীক্ষার্থীর নাম খাদিজা আক্তার। এই ৪৬-এর মহিলা নিজে পরীক্ষা দিতে না গিয়ে পাঠিয়ে দেন তাঁর মেয়ে সুমাইয়া আক্তারকে। খাদিজা গোপালগঞ্জ মহিলা আলিয়া মাদ্রাসার এসএসসি পরীক্ষার্থী। তাঁর পরীক্ষা সেদ্দাসির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে গোপালগঞ্জ সদরের হরিদাসপুর রয়েল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্রে। তার মেয়ে সুমাইয়া গোপালগঞ্জ শেখ হাসিনা স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। খাদিজা তাকেই পরীক্ষা দিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার পরীক্ষা দেওয়ার সময়ে ধরা হয় সুমাইয়াকে। কেন্দ্র সচিব আতিয়ার রসুল হিমেল জানান, খাদিজা নামের ওই পরীক্ষার্থী নিজে পরীক্ষা দিতে না এসে মেয়ে সুমাইয়াকে পাঠায়। হল পরিদর্শনের সময় প্রবেশ পত্রের ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর মিল না পাওয়ায় সুমাইয়াকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়। সে তার মায়ের পরীক্ষা দিতে আসার কথা স্বীকার করে।

বৃহস্পতিবার ছিল আরবির পরীক্ষা। সেদিনই ধরা পরে যায় পুরো ঘটনা। এদিকে মায়ের হয়ে পরীক্ষায় মেয়ে অংশগ্রহণ করার অপরাধে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তারপরে ছেড়ে দেওয়া হয় সুমাইয়াকে। আধিকারিকরা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ওই টাকা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। তাই জরিমানার টাকা পরিশোধ করে অভিভাবকরা সুমাইয়াকে মুক্ত করে নিয়ে যান।