গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান

গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান

যুগকথা রিপোর্টঃ

গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নানা ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এই অভিযান চালান দুর্নীতি দমন কমিশন। গোপালগঞ্জ এর উপ-পরিচালক মোঃ মশিউর রহমানের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করেন।

 গোপালগঞ্জ ২৫০ বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে এই অভিযান পরিচালনা করেন তারা। এসময় হাসপাতালে সরকারি ঔষধের হিসাবের অনিয়ম, সঠিক সময়ে ডাক্তার না আসা, দীর্ঘদিন হাসপাতালের এক্সরে মেশিন, সিটিস্ক্যান মেশিন, এমআরআই মেশিন অচল, রোগীদের জন্য রান্না করা অস্বাস্থ্যকর খাবার, টিকিটের টাকা বেশী নেয়া, অর্থের বিনিময়ে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের প্রমাণ সংগ্রহ করে এসব বিষয়ে তদন্ত করেন এবং বিষয় গুলির প্রমানও পান দলটি। এ বিষয়ে অভিযোগ যেমন রয়েছে তেমনি অভিযুক্তরাও তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। এসব অনিয়ম এর বিষয়ে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ জীবিতেশ বিশ্বাস বলেন, আমরা এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।

তবে তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন আমাদের অনেক কিছুর চাহিদা আছে কিন্তু চাহিিদা মোতাবেক সব ধরনের ইকুইপমেন্ট, বিভিন্ন ধরনের টেকনিশিয়ান এমনকি চিকিৎসকেরও স্বল্পতা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ঔষধ থাকার কথা থাকলেও হাসপাতালে তার সাপ্লাই নেই। দুদক উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, আমরা দীর্ঘ সময় এই হাসপাতালে অবজার্ভেশন করেছি। ডাক্তার সঠিক সময় আসেন না। টিকিটের মূল্য ১০ টাকার বদলে ২০/৩০ টাকা করে নিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে গোপালগঞ্জবাসী হাসপাতালের বিভিন্ন সেবা থেকে কেন বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশেষ করে সব থেকে ভয়াবহ চিত্র হচ্ছে সার্টিফিকেট বাণিজ্য এবং স্টোরে যে পরিমাণ ঔষধ মজুদ থাকার কথা সেটার গড়মিল রয়েছে। এখানে চিকিৎসার সব ধরনের সুযোগ থাকলেও একটু সমস্যা হলেই সেই রোগীকে রেফার্ড করা হয় ঢাকা মেডিকেল অথবা খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে। আমরা বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করেছি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার পরে বিস্তারিত গণমাধ্যমকে জানানো হবে।