কোটালীপাড়ায় সালিশ বৈঠকের নামে মারপিট দুই শিক্ষার্থী সহ আহত ৫

কোটালীপাড়ায় সালিশ বৈঠকের নামে মারপিট দুই শিক্ষার্থী সহ আহত ৫
যুগকথা রিপোর্টঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সালিশ বৈঠকের নামে হামলা মারপিট ভাংচুর করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে দুই শিক্ষার্থী সহ পাঁচ জন আহত হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনেরা। এদের মধ্যে স্বর্না খানম (১৭), বর্না খানম (১৫) ও রবিউল মোল্লা (২২) সহ তিন জনের অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। গত শনিবার দিবাগত রাত ৮ টায় উপজেলার কান্দি ইউপি আমবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ভ্যাকু(স্কেভেটর) ব্যবসার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে ফরিদপুরের ফরহাদ শেখের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিলো ইউপি সদস্য রিপন হাওলাদার, শাহিদুল মোল্লা ও মনির মোল্লা দের। ঘটনার দিন উক্ত বিবাদ নিরষনের লক্ষ্যে রিপন হাওলাদার, হবি হাওলাদার, আলী হাওলাদার, বাবু শাহ, ইয়ার আলী তাজ, চাঁদ মিয়া মোল্লা সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রতিবেশী যাকব বৈরাগীর উঠানে বসে সালিশ দরবারে।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শতাধিক জনতা সংঘবদ্ধ ভাবে চাঁদ মিয়া মোল্লা ও যাকব বৈরাগীর পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে এ তান্ডব চালায়। ভুক্তভোগী শাহিদুল মোল্লা জানান- সালিশ দরবার করার নামে বাবু শাহ, ইয়ার আলী তাজ, রিপন মেম্বার এর নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন একত্রিত ভাবে আমাদের বাড়ী ঘরের উপর হামলা চালিয়ে ভাংচুর মারপিটে আহত করে, নারীদের ও ছাড় দেয়নি তারা, হামালাকারীরা আমাদের ও যাকবের ঘরে ঢুকে ২ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়, আমরা এই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই। যাকব বৈরাগী বলেন- আমার উঠানে দরবার বসেছিলো, আমার ঘর দরজা ভাংচুর করে চালের ভিতরে থাকা টাকা পয়সা নিয়ে গেছে হামলাকারীরা, বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে ফেলেছে।
ইউপি সদস্য রিপন হাওলাদার জানান- আমার এখান থেকে কিছু সংখ্যক লোকজন গিয়েছিলো, বাকী লোক এনেছে বাবু শাহ ও ইয়ার আলী তাজ। অভিযুক্ত বাবু শাহ ও ইয়ার আলী তাজ বলেন- আমরা একশ লোক যাই নি, সাইেডের লেবার কর্মচারী মিলিয়ে ২০/২৫ জন লোক গিয়ে ছিলো, ওখানে কোন প্রকার ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতা হাতি হয়েছে উভয় পক্ষে, আমাদের ও চারজন রুগী হাসপাতালে ভর্তি আছে, ফরহাদ বিদেশী লোক, সে আমাদের সাথে থেকে এই এলাকায় ব্যবসা করে, তাকে দেখে রাখার দায়িত্ব আমাদের। এ ব্যাপারে শাহিদুল মোল্লা বাদী হয়ে ৯ জনের নাম ও ৩০/৩৫ জন অজ্ঞাত নামা উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে কোটালীপাড়া থানার এস আই মামুনুর রশিদ বলেন- অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত অব্যহত রয়েছে।