যুগকথা রিপোর্ট :
গোপালগঞ্জে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চারজন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলা এবং সেনাবাহিনীর ওপর হামলা মামলায় গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সহ ৪ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে দিদার হত্যা মামলায় ৩ জন ও সেনাবাহিনীর ওপর হামলা মামলায় ১ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিলন মুন্সী, ছাত্রলীগ কর্মী সাব্বির মুন্সী ও রানা মোল্লা এবং কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম।
রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান গ্রেফতার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে এরা দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিল। পুলিশের নিয়মিত অভিযানে এদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শনিবার রাতে যার যার বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রবিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানীর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামে যাচ্ছিলেন। তার গাড়ি বহরটি এ দিন বিকেলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহত হয়।
এছাড়া গত ১০ আগস্ট ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহ মহাসড়কে অবরোধ করে যান চলাচলে বাধা প্রদান ও গাড়ী ভাংচুর করে। এ তথ্যের ভিত্তিত্বে গোপালগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের মেজর মোঃ আকিকুর রহমান রুশাদের নেতৃত্বে একটি টহল দল সেখানে গেলে আন্দোলনকারীরা সেনা সদস্যদের উপর হামলা করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে।