নিজের যত্ন নিতে সবাই বেশ সচেতন। বেশিরভাগ মানুষই নিজের যত্ন করার ব্যাপারে কেবল বাহ্যিক যত্নকেই বোঝেন। রূপচর্চা, ব্যায়াম, ডিজিটাল ডিটক্সিফিকেশন এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ নিজের ভেতর থেকে যত্ন শুরু করা।
নিজের যত্ন শুরু করার ক্ষেত্রে অন্ত্রের স্বাস্থ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অন্ত্রে কোটি কোটি অণুজীব থাকে যা হজমে সহায়তা করে, মেজাজকে প্রভাবিত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এবং প্রতিদিন আপনার অনুভূতিকে প্রভাবিত করে।
অন্ত্রের যত্ন সম্পর্কে জানিয়েছেন, ভারতীয় চিকিৎসক পরীক্ষা রাও:
মাইক্রোবায়োমের ভূমিকা বোঝা
অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম হল পাচনতন্ত্রে বসবাসকারী কোটি কোটি অণুজীবের একটি জটিল সম্প্রদায়। পুষ্টি শোষণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মাইক্রোবায়োম। খারাপ খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব বা অলস জীবনযাত্রার কারণে এসব কাজ ব্যাহত হয়, তখন এটি বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
অন্ত্রের পুষ্টি জোগায় এমন খাবার
আমরা যা খাই তা সরাসরি আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। তাই আমাদের এমন খাবারের উপর মনোযোগ দেওয়া, যা প্রাকৃতিকভাবে মাইক্রোবায়োমকে সমর্থন করে। উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবার যেমন ফল, শাকসবজি, ডাল, বাদাম এবং শস্যজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এসবে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়।
ফিটনেস
শারীরিক ব্যায়াম হৃদরোগ বা ওজনের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এর উপকারিতা হজম এবং অন্ত্রের ভারসাম্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাই অলসতা কাটিয়ে নিয়মিত নড়াচড়া করা বিশেষ করে হাঁটা, যোগব্যায়াম, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটার মতো ব্যায়াম করা উচিত। এতে পাচনতন্ত্র আরও দক্ষতার সাথে কাজ করতে সাহায্য করতে পারে।
তথ্যসূত্র: নিউজ১৮