মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
অর্ধ-বেলাও অফিস করেন না গোবিপ্রবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের প্রোগ্রামার মুমিত বান্দরবান হলটিকালচার ৩ কোটি টাকার চারা বিতরণ প্রকল্পে মিলেমিশে অর্থ আত্মসাৎ শাবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গোবিপ্রবি উপাচার্যের প্রবন্ধ উপস্থাপন  ২৪-২৫ অর্থবছরের স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির মধ্যে জেলা প্রশাসকের চেক বিতরণসহ নানান কর্মসূচি  গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের ডিজিটাল অফিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ শুরু গোপালগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ দুইজন আট প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জে সাংবাদিক মাহবুব হোসেন সারমাতের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক হলেন দৈনিক যুগকথা পত্রিকার বিপ্র  গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সভাপতি সজিব, সম্পাদক আসিফ গোপালগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ক কর্মশালা 

স্বামীর কাছে আমেরিকায় যাওয়া হলো না ঝর্ণা বেগমের!

  • Update Time : রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৬.০৪ পিএম
  • ৯৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: কিছুদিন পরই সন্তানদের নিয়ে আমেরিকায় স্বামীর কাছে যাওয়ার কথা ছিলো গৃহবধু ঝর্ণা বেগমের (৩৫)। স্বামীর কাছে না গিয়ে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ।

আজ সকাল ১১ টার দিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জুরী গ্রামে নিজ ভবনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন ঝর্ণা বেগম।

নিহত ঝর্ণা বেগম আমেরিকা প্রবাসী হাফেজ সিদ্দিকুর রহমান তালুকদারের স্ত্রী। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম দেখা দিয়েছে।

জানাগেছে, ঝর্ণা বেগম তার বড় ছেলে হাফেজ সাকিব তালুকদার (১৮) কে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন। ছোট ছেলে ইউসুফ তালুকদার (১০) পাশ্বর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা গ্রামে একটি মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে লেখাপড়া করে।

প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশি শাওন বলেন, সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে কাকির (ঝর্ণা বেগম) রুম থেকে ধুয়া বের হচ্ছিল। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায় রুমের জানালার গ্লাস ভেঙ্গে দেখি শুধু ধোয়া বের হচ্ছে সাথে শরীর পোড়া গন্ধ। পরে আশেপাশের লোক ডেকে শাবল দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে দেখি পুরো শরীর পুড়ে গেছে ফ্লোরে লেপ্টে রয়েছে।

কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কেরোসিন তেলের বোতল ও গ্যাস লাইট জব্দ করেছে।

ঝর্ণা বেগমের বড় ছেলে হাফেজ সাকিব তালুকদার (১৮) বলেন, বাবা প্রায় ১০ বছর ধরে আমেরিকায় আছেন। গতবছর সর্বশেষ বাড়িতে এসেছিলেন। মা, আমি ও ছোট ভাই ইউসুফ তালুকদার (১০) পাসপোর্ট বাবা নিয়ে গেছেন। আমি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। আর কিছুদিন লাগবে শেষ হতে। এরপরই আমাদের আমেরিকায় চলে যাওয়ার কথা। সেখানে বাবা ছাড়াও ৩ চাচা ও ১ ফুফু তাদের পরিবার নিয়ে থাকেন। মা কেন যে এমনটা করলো আমরা বুঝতে পারছি না।

ঝর্ণা বেগমের প্রতিবেশী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মাসুদ তালুকদার বলেন, ঝর্ণা বেগম একজন পর্দানশীল নারী ছিলেন। এলাকায় সকলের বিপদে আপদে সহযোগিতা করতেন। ঝর্ণা বেগমের স্বামী, দেবর, ভাসুর, ননদ সকলেই পরিবারসহ দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায়। এই পরিবারটি সকলের কাছেই খুব প্রিয় ছিল। এমন পরিবারে এই দুর্ঘটনা বেদনদায়ক। পুরো এলাকার মানুষ শোকহত হয়ে পড়েছে।

কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, দুপুরে খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করি। আগুনে ঝর্ণা বেগমের শরীরের প্রায় ৯০ ভাগ পুড়ে গেছে ও চেহারা বিকৃত হয়ে যায়। আত্মহত্যার কারন জানা যায় নি। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগও দেওয়া হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে হয়তো কোন অভিমানে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে ময়নাতদন্তসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

More News Of This Category
2504_jugokatha
© All rights reserved © 2025
IT Support By : JUGOKATHA