থাইরয়েড গ্রন্থি মানবদেহের বিপাক, ওজন, মেজাজ, শরীরের তাপমাত্রাসহ হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে পুরো এই কার্যকলাপের জন্য আয়োডিন একটি অপরিহার্য উপাদান যেটা ছাড়া থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনই সম্ভব নয়। তবে এর মাত্রার কম বা বেশি হলে থাইরয়েডের ভারসাম্যর উপর প্রভাব পড়তে পারে। কারণ মাত্রায় বেশি বা কম—দু’ই অবস্থায় থাইরয়েডের উপর প্রভাব পড়ার ঝুঁকি বাড়ে। এ বিষয়ে ভারতীয় এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডা. শেহলা শেখ জানিয়েছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের দৈনিক প্রায় ১৫০ মাইক্রোগ্রাম, আর গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের প্রয়োজন ২৫০ মাইক্রোগ্রাম আয়দিন প্রয়োজন। এতে সামান্য ঘাটতি হলেও থাইরয়েডের হরমোন উৎপাদনে ব্যাহত হয়।
আয়োডিন কম বা বেশি হলে যে ঝুঁকি রয়েছে
অতিরিক্ত আয়োডিন গ্রহণ থাইরয়েডকে অতিরিক্ত সক্রিয় করে তোলে। এতে মৃদু থাইরয়েডিয়া দেখা যেতে পারে যা থাইরয়েডাইটিসের সংকটও বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় পরিমাণে বেশি আয়োডিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে থাইরয়েডের অটোইমিউন প্রতিক্রিয়া তীব্র হয়ে ওঠে। অন্যদিকে, আয়োডিনের ঘাটতি হলে থাইরয়েড হরমোনের তৈরিতে ব্যহত হয়, ফলে দেখা দেয় হাইপোথাইরয়েডিজম। এতে ওজন বৃদ্ধি, ক্লান্ত লাগা, ঠাণ্ডা সহ্য না করতে পারা, মানসিক বিষণ্নতা, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে শুরু কর ব্রেইন ডেভেলপমেন্টসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়।
থাইরয়েডের ভারসাম্য ঠিক রাখতে করনীয়:
সুস্বাস্থ্যর ও রোগ প্রতিরোধে আয়োডিন যেমন অপরিহার্য তেমনি থাইরয়েডের ভারসাম্য ঠিক রাখতেও সহায়ক।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস