বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
অর্ধ-বেলাও অফিস করেন না গোবিপ্রবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের প্রোগ্রামার মুমিত বান্দরবান হলটিকালচার ৩ কোটি টাকার চারা বিতরণ প্রকল্পে মিলেমিশে অর্থ আত্মসাৎ শাবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গোবিপ্রবি উপাচার্যের প্রবন্ধ উপস্থাপন  ২৪-২৫ অর্থবছরের স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির মধ্যে জেলা প্রশাসকের চেক বিতরণসহ নানান কর্মসূচি  গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের ডিজিটাল অফিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ শুরু গোপালগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ দুইজন আট প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জে সাংবাদিক মাহবুব হোসেন সারমাতের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক হলেন দৈনিক যুগকথা পত্রিকার বিপ্র  গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সভাপতি সজিব, সম্পাদক আসিফ গোপালগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ক কর্মশালা 

অপহরণের ২৫দিন পরও স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ

  • Update Time : শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫, ১০.২৬ এএম
  • ১৫৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে অপহরণের ২৫ দিন পরও দশম শ্রেণির ছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ওই শিক্ষার্থীর পরিবারে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশ বিষয়টি মিমাংসা  করার কথা বলেছে। পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এ ঘটনাটি ঘটেছে মুকসুদপুর উপজেলার খান্দারপাড়া ইউনিয়নের খান্দারপাড়া গ্রামে।অপহরণের ৫ দিন পর গত ২০ জুলাই ওই শিক্ষার্থীর ভাই ইউসুফ খন্দকার জয় বাদি হয়ে হাসিব ফকির (২০), সাগর ফকির (২০), মাহাবুব ফকির (২৬), হাবিবুর ফকির (২৫) ও দেলোয়ার ফকিরকে (৫৫) আসামি করে মুকসুদপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ অপহরণকারী মাহাবুব ফকিরকে গ্রেফতার করেছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতার ও ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং মুকসুদপুর থানার এসআই মো: রাসেল খান জানিয়েছেন । বিষয়টি মিমাংসা  করার কথা ওই ছাত্রীর পরিবারকে  তিনি বলেননি বলে দাবি করেন ।

মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, ওই ছাত্রী খান্দারপাড়া ড. সাইদুর রহমান লস্কর একাডেমির ১০ম শ্রেণির ছাত্রী । গত ১৫ জুলাই স্কুলের প্রি-টেস্টের সমাপনী পরীক্ষা শেষে দু’ বান্ধবীর সাথে মাছিয়ারা গ্রামের বাড়ি ফিরছিল । তারা খান্দারপাড়া গ্রামের সেন্টু মিয়ার বাড়ির কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা হাসিব ফকির সহ আসামিরা ধরাধরি ও জোর করে তাকে  ইজিবাইকে তোলার চেষ্টা করে । এ সময় দু’ বান্ধবী বাধা দেয় । তাদের অপহরণকারীরা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে ধস্তাধস্তি করে তাকে ইজবাইকে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠী বান্ধবী (নিশিতা আক্তার) বলেন, ১৫ জুলাই পরীক্ষা শেষে আমরা  ৩ বান্ধবী স্কুল থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আমরা সেন্টু মিয়ার বাড়ির সামনে পৌঁছালে হাসিব ফকির ও সাগর ফকির  ইজিবাইকে করে সেখানে আসে। তাকে ইজিবাইকে উঠতে বলে। সে রাজি হয়নি ।তারপর হাসিব টানা হেচরা ও জোর করে তাকে কোলে নিয়ে ইজিবাইকে তোলে । আমি বাধা দিলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আমি ইজিবাইককের সামনে গিয়ে দাড়াই। আমার উপর দিয়ে ইজিবাইক চালিয়ে দেবে বলে জানায়। পরে প্রাণভয়ে  সরে দাড়াই। তারা নির্বিঘ্নে ইজিবাইক নিয়ে চলে যায়।

মামলার বাদি ইউসুফ খন্দকার জয় বলেন, এলাকার বখাটে হিসেবে পরিচিত হাসিব ফকির আমার বোনকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে সে প্রত্যাক্ষাণ করে । এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমার বোনকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এনিয়ে তাকে ও তার পরিবারকে বার বার সতর্ক করা হয়েছে।  এরমধ্যে গত ১৫ জুলাই স্কুল থেকে আসার পথে আমার বোনকে জোর করে অপহরণ করেছে হাসিব ও অন্যান্য আসামিরা। তারপর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এটি নিয়ে শালিস বৈঠক করেছেন । সেখানে তারা প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা আমার বোনকে ফিরিয়ে দেয়নি। তারপর বাধ্য হয়ে আমি বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছি। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু আমার বোনকে এখনো উদ্ধার করতে পারেনি।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এটি মিমাংসা করতে বলছেন। আমরা মিমাংসা চাই না, বোনকে ফেরৎ চাই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

More News Of This Category
2504_jugokatha
© All rights reserved © 2025
IT Support By : JUGOKATHA