শ্রবণশক্তি হ্রাসের মতো সমস্যাটি কয়েক বছর আগেও বয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো। তবে শ্রবণশক্তি হ্রাস এখন আর বয়সের সাথে সম্পর্কিত নয়। তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক, স্কুলছাত্রী থেকে শুরু করে কর্মজীবী পেশাদারদের মধ্যেও এই ধরনের সমস্যা লক্ষ করা যাচ্ছে। এই সমস্যার প্রধান কারণ হলো উচ্চ শব্দের সংস্পর্শে আসা, অতিরিক্ত হেডফোনে গান শোনা ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে সময় কাটানো। এছাড়া, কিছু নির্দিষ্ট রোগের সংক্রমণ, কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও বংশগত কারণও হতে পারে শ্রবণশক্তি হ্রাসের জন্য দায়ী।
এ বিষয়ে ভারতের নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডা: ‘মুরারজি ঘাদজে’ বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারের কারণে তরুণ, স্কুল ও কলেজের ছাত্র এবং কর্মজীবী পেশাদারদের-মধ্যে শ্রবণ সমস্যার ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তরুণদের মধ্যে শ্রবণশক্তি হ্রাসের কারণ এবং ঝুঁকি
ডা: মুরারজি জানান, বেশিরভাগ তরুণের কানে ব্যথা, কানে শব্দ বাজতে থাকা, কথা বুঝতে না পারাসহ শ্রবণশক্তি হ্রাসের লক্ষণগুলো দেখা দেয়, যা নাক, কানের গুরুতর সমস্যার লক্ষণ। শ্রবণশক্তি হ্রাসের এই ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির পিছনে মূল কারণ হেডফোন বা ইয়ারবাডের মতো ডিভাইস ব্যবহার ও উচ্চস্বরে সঙ্গীত শোনার অভ্যাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ১২-৩৫ বছর বয়সী কিশোর এবং তরুণদের মধ্যে, প্রায় ৫০ শতাংশই অডিও ডিভাইস ব্যবহার করে থাকেন যার ফলে শ্রবনশক্তি হ্রাসের মতো সমস্যার সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ায় তারাই আছেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে।
নিরাপদ থাকতে করনীয়:
ডা: মুরারজির মতে, স্ক্রিন টাইম বৃদ্ধি, ডিজিটাল লার্নিং, ভিডিও গেম এবং শব্দ-নিরোধক হেডফোন পরার ফলে বিপদ বেড়েছে তবে এটি এড়াতে “৬০/৬০ নিয়ম মেনে চলা উচিত। যেমন-
তবে এই ধারণাটি পরিবর্তন করা গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু শ্রবণশক্তি হ্রাস এখন আর বয়সের সমস্যা নয় তাই আমাদের নিজেদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা জরুরী।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস