মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
অর্ধ-বেলাও অফিস করেন না গোবিপ্রবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের প্রোগ্রামার মুমিত বান্দরবান হলটিকালচার ৩ কোটি টাকার চারা বিতরণ প্রকল্পে মিলেমিশে অর্থ আত্মসাৎ শাবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গোবিপ্রবি উপাচার্যের প্রবন্ধ উপস্থাপন  ২৪-২৫ অর্থবছরের স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির মধ্যে জেলা প্রশাসকের চেক বিতরণসহ নানান কর্মসূচি  গোবিপ্রবি’তে কর্মকর্তাদের ডিজিটাল অফিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ শুরু গোপালগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ দুইজন আট প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জে সাংবাদিক মাহবুব হোসেন সারমাতের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের প্রচার সম্পাদক হলেন দৈনিক যুগকথা পত্রিকার বিপ্র  গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সভাপতি সজিব, সম্পাদক আসিফ গোপালগঞ্জে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ক কর্মশালা 

গোবিপ্রবি প্রক্টরের বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূতভাবে সার্টিফিকেট তুলতে বাধা দেয়ার অভিযোগ 

  • Update Time : সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯.৪৮ পিএম
  • ১৭৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

বিপ্র এন এম, গোবিপ্রবি থেকে: গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) ফার্মেসি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আতিক ফয়সাল তার স্নাতক পরীক্ষার সনদ তুলতে প্রক্টরের বিরুদ্ধে বাধা প্রদানের অভিযোগ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী আতিক ফয়সাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর না করায় আমি সার্টিফিকেট তুলতে পারছি না।

সংবাদ সম্মেলনে উক্ত শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন,আমার অনার্সের রেজাল্ট প্রকাশের পর সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রক্টর আরিফুজ্জামান রাজিব এর স্বাক্ষর নিতে গেলে তিনি স্বাক্ষর না করে কাগজপত্র রেখে দেন। একাধিকবার যোগাযোগ করার পরেও তিনি রেসপন্স করেন নি। ফলে দীর্ঘদিন সার্টিফিকেটের জন্য ঘুরতে হচ্ছে। আমার একটা চাকরির কথা হচ্ছিলো, সেটিও সার্টিফিকেট না থাকায় আর আগানো সম্ভব হয় নি। সনদ উত্তোলনের ফর্মে স্বাক্ষর না করায় সার্টিফিকেট তুলতে পারিনি। সহপাঠীরা সনদ পেলেও আমি প্রক্টরের কাছে গিয়ে আটকে আছি। বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো উত্তর পাইনি। আমার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা বোর্ডে কোনো শাস্তি হয়নি। এখন পর্যন্ত আইনবহির্ভূত কোনো কাজের জন্য আমি শাস্তির সম্মুখীন হই নি। অথচ অকারণে হয়রানি করা হচ্ছে। কোনো ধরনের একাডেমিক বা প্রশাসনিক শাস্তির নোটিশ ছাড়াই প্রক্টর ইচ্ছাকৃতভাবে সার্টিফিকেট তোলার প্রক্রিয়া আটকে রেখেছেন। দিনের পর দিন অফিসে ঘুরিয়েও সমস্যার সমাধান মিলছে না। এমনকি সরাসরি যোগাযোগ করলেও প্রক্টর বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।

চাকরির পরীক্ষা ও পেশাগত জীবনে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ করে উক্ত শিক্ষার্থী আরও বলেন, “সার্টিফিকেট না থাকার কারণে আমি একাধিক চাকরির সুযোগ হারাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই গড়িমসিতে আমার ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে।”

সংবাদ সম্মেলন থেকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান দাবি করেন এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এমন হয়রানি বন্ধ করার আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে প্রক্টর আরিফুজ্জামান রাজিবকে ফোন করা হলে তিনি সামনাসামনি যোগাযোগ করতে বলেন। পরবর্তীতে প্রক্টর অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে তার সাথে কথা বলতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

More News Of This Category
2504_jugokatha
© All rights reserved © 2025
IT Support By : JUGOKATHA