আমাদের মস্তিষ্ক হচ্ছে দেহ পরিচালনার কেন্দ্র। মস্তিষ্ক দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা নিশ্চিত করা অনেক বেশি প্রয়োজন। যদিও সাধারণত হৃদরোগ, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির দিকে অনেকে মনোযোগ দেওয়া হলেও, মস্তিষ্কের যত্ন তেমনভাবে আলাদাভাবে নেওয়া হয়না। তবে খুব সহজ অভ্যাস দিয়েই শুরু করা যায় মস্তিষ্ক যত্ন নেওয়ার কাজ। নিউরোসার্জারির সহযোগী পরিচালক ডাঃ হৃষিকেশ চক্রবর্তী জানিয়েছেন তেমন কিছু সহজ অভ্যাস
মস্তিষ্ক-উপকারী খাবার
শাকসবজি, বেরি, মাছ, বাদাম এবং শস্যজাতীয় খাবার প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। এসব মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্যের মতো খাদ্য মস্তিষ্কের অবক্ষয় এবং আলঝাইমার রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন
প্রতি রাতে ৭-৮ ঘন্টা বিশ্রামের ঘুম মস্তিষ্ককে বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করতে, স্মৃতি প্রক্রিয়া ভালো করতে এবং নিজেকে মেরামত করতে সাহায্য করে। দীর্ঘদিন ঘুমের অভাব হলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
মন সচল রাখো
মানসিক উদ্দীপনা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত জটিল ধাঁধা সমাধান, নতুন দক্ষতার কাজ শেখা,পড়া বা নতুন শখ পূরণে পরিশ্রম করা বেশ কার্যকর। এতে মস্তিষ্কের নতুন সংযোগ তৈরির ক্ষমতা বাড়ে। ব্রেনের বার্ধক্য গতি ধীর করে এবং মনকে তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে।
সামাজিকভাবে কাজ
সকলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা এবং দলগত কার্যকলাপে অংশগ্রহণ হতাশা এবং অবক্ষয় থেকে রক্ষা করে। সামাজিক সম্পৃক্ততার সাথে উন্নত মানসিক তৎপর হয়।
মাথার ক্ষতিরোধ
যেকোনো পরিস্থিতিতে মাথায় আঘাত পাওয়া এড়িয়ে চরতে হবে। সাইকেল চালানো বা খেলাধুলা করার সময় সর্বদা হেলমেট পরতে হবে। যানবাহনে সিটবেল্ট ব্যবহার করুন। যেকোনো বয়সে পড়ে যাওয়া বা দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমিয়ে নিরাপদ থাকার চেষ্টা করুন।
তথ্যসূত্র: নিউজ১৮
সম্পাদক : শেখ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, গোপালগঞ্জ সদর, গোপালগঞ্জ।
অফিস: ০২-৪৭৯৯৬১৪১, মোবাইল: ০১৯১১-৩৩২১৮৫, ইমেইল: mahbubpress66@gmail.com